আমাদের অধিকাংশ বক্তা বা লেকচাররা শুধুমাত্র সুদকে হারাম ও সুদের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে বলেই ক্ষ্যান্ত হয়ে বসে যান। কিন্তু যে সমাজ আজ সুদ ছারা কোন ভাবেই চলছে না। সে সমাজকে কিভাবে সুদমুক্ত করা যায়। তার বাস্তবমুখি ফিজিক্যালি কি ফর্মূলা হতে পারে তা আমাদেরকে বলে যান না।
তাই সুদের বিরুদ্ধে যতই ওয়াজ করেন আর বড় বড় লেকচার দেন তা আসলে বাস্তবিকই তেমন কোন পরিবর্তনের প্রভাব ফেলছে না।
এ জন্যে # সুদকে শুধু হারাম বলে চলে গেলেই কাজ হবে না। সুদের বিকল্প অর্থায়ন ব্যবস্থা কি হতে পারে তার ফর্মূলাও দিতে হবে। তাহলেই সুদের ভয়াবহতা থেকে #জনগণকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সুদের বিকল্প অর্থায়ন ব্যবস্থা করতে গেলে আমাদের সমাজে কর্জে হাসানা বা উত্তম ঋণ সামাজিক ভাবে চালু করতে হবে। আজ আমাদের সমাজে সুদ প্রতিষ্ঠিত থাকায় কর্জে হাসানা বা উত্তম ঋণ চালু নেই বললেই চলে।
কিন্তু এটি হচ্ছে আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ, যা আমরা আজ হারাতে বসেছি।
কর্জে হাসানা এমন একটি সুন্নাহ যা কাউকে কোন টাকা,পয়সা দান করার পর যে সওয়াব হয়। তার দ্বীগুন সওয়াব হয় কাউকে কর্জে হাসানা দিলে।
কর্জে হাসানা সম্পর্কে রাসূল সঃ এর বিভিন্ন হাদিস পাওয়া যায়। যেমন ঃ
“দানের নেকি দশগুণ আর ঋণের নেকি ১৮ গুণ।”
(সিলসিলা সাহীহা, হা/১৪৮১ এবং সহিহ তারগিব, হা/৯০০)।
কিছু কাজ আছে, যেগুলো করলে আল্লাহ তা’আলা সে আমল বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। যেমন, মানুষকে সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া।
.
আবু দারদা রাদিআল্লাহু আনহু বলেনঃ
.
কাউকে দুই দিনার ঋণ দেওয়া আমার কাছে এই দুটি দিনার কাউকে সদকা হিসেবে দিয়ে দেওয়ার চেয়ে বেশি প্রিয়। ” ইবনে আবি শাইবা, হাদিস নং : ২২৬৮২
রাসুলুল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি-ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
.
“নির্দিষ্ট সময়ে পুরো ঋণ ফিরিয়ে দিতে হিমশিম খাচ্ছে এমন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে যে দেনা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সময় দেয়, ওই ব্যক্তিকে এমন সওয়াব দেয়া হবে যেন সে প্রতিদিনই সমপরিমাণ টাকা সদকা করেছে।
মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং : ২৩০৪৬
উপরিউক্ত হাদিসের মাধ্যমে আমরা বুঝলাম কর্জে হাসানা এর গুরুত্ব।
তাই আসুন আর্থিক ভাবে সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে সমাজকে সুদ মুক্ত করার চেষ্টা করি।